Friday, August 22, 2025
HomeScroll‘যক্ষ্মা মুক্ত ভারত’ গড়তে জনগণের জোরদার লড়াইকে কুর্নিশ প্রধানমন্ত্রীর

‘যক্ষ্মা মুক্ত ভারত’ গড়তে জনগণের জোরদার লড়াইকে কুর্নিশ প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: যক্ষ্মার (Tuberculosis) বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার জন্য জনগণের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Narendra Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, আমি অভিনন্দন জানাতে চাই, যারা ‘যক্ষ্মা মুক্ত ভারত’ (TBMuktBharat) গড়তে জোরদার লড়াই করেছেন। মোদির আরও সংযোজন, একটি সুস্থ ভারত গড়তে একদম তৃণমূল স্তর থেকে মানুষ লড়াই করছে। ফলে এই প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে।‘

এই যক্ষ্মা প্রতিরোধকে একটি জন আন্দোলনের রূপ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার (Union Health Minister JP Nadda) মন্তব্য শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই কথা বলেন। মোদি বলেন, ভারতের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল ভারত গড়ার। বিশ্বব্যাপি লক্ষ্যের পাঁচ বছর আগেই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যক্ষ্মা নির্মূল অভিযানে ৩৩টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচিত ৪৫৫টি উচ্চ-অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জেলাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। যক্ষ্মা রোগ সনাক্তকরণ করা, মৃত্যুহার হ্রাস , এবং নতুন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অভিযান চালানো হয়।

আরও পড়ুন: “কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে…,” বিস্ফোরক রাহুল গান্ধী

এক্স হ্যান্ডেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা লেখেন, ১.৯৪ লক্ষেরও বেশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম করা হয়েছিল। জন আন্দোলনে ৩৩,০০০ এরও বেশি নির্বাচিত প্রতিনিধি ভাগ নিয়েছেন। এবং ২২-স্তরের মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ১.০৫ লক্ষ নতুন নিক্ষয় মিত্রের মাধ্যমে কার্যকর পুষ্টি সহায়তার জন্য সম্প্রদায়কে সংগঠিত করা হয়েছে। ৩ লক্ষের বেশি পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মোট ১৩.৪৬ লক্ষের নিক্ষয় শিবির করা হয়েছিল। ১২.৯৭ কোটি ঝুঁকিতে থাকা মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এই অভিযানে মাধ্যমে ৭.১৯ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ২.৮৫ লক্ষ উপসর্গহীন যক্ষ্মা রোগী প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছিল।

WHO-এর গ্লোবাল যক্ষ্মা রিপোর্ট ২০২৪ অনুসারে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্তের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে ১৭.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে – যা বিশ্বব্যাপী গড় ৮.৩ শতাংশ হ্রাসের দ্বিগুণেরও বেশি। মৃত্যুর হারও ২০১৫ সালে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় ২৮ জন থেকে ২১.৪ শতাংশ কমে ২০২৩ সালে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় ২২ জনে দাঁড়িয়েছে।

তবে, ভারতে ২৮ লক্ষ যক্ষ্মা রোগীর রিপোর্ট পাওয়া গেছে, যা ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যার ২৬ শতাংশ। আনুমানিক ৩.১৫ লক্ষ যক্ষ্মাজনিত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর ২৯ শতাংশ।

দেখুন অন্য খবর:

 

 

 

 

Read More

Latest News